টানা বর্ষণের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির অন্যতম আকর্ষণ পর্যটন কর্পোরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি পানির নিচে ডুবে গেছে। বর্তমানে সেতুর পাটাতন পানির প্রায় ৫ ইঞ্চি নিচে তলিয়ে গেছে।
দুর্ঘটনা রোধে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুর উপর দিয়ে মানুষের চলাচলের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৭০ দশকের দিকে সরকার রাঙামাটি জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৮৪ সালের দিকে পর্যটন কর্পোরেশন পর্যটকদের সুবিধার্থে ও মনোরঞ্জনের জন্য দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরী করে আকর্ষনীয় এ ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করা হয়।
সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানি সীমার ১২০ ফুট নিচে নির্মাণ করায় প্রতি বছর ভারী বৃষ্টিপাতে ও সীমান্তের ওপাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে পানিতে তলিয়ে যায় সেতুটি।
পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, সেতুটি ডুবে যাওয়ায় প্রতিদিন ৮/১০ হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত হবে কর্পোরেশন।
কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বুধবার সকাল ১০ টায় কাপ্তাই হ্রদের পানি উচ্চতা রয়েছে ১০৫.৫৪ ফুট (এমএসএল) মিন সী লেভেল । কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট (এমএসএল)। বর্তমানে ৫টি ইউনিট থেকে প্রতি সেকেন্ডে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।