বাংলাদেশ সরকার মনে করে সীমান্ত এলাকা হওয়ায় নিরাপত্তার দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সে এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতাও আছে। ফলে জাতিসংঘের ঘোষণায় স্বাক্ষর করে ”আদিবাসীদের অধিকার” মেনে নিলে সামরিক তৎপরতাও সেখান থেকে গুটিয়ে নিতে হবে।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান মনে করেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের উচিৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে বসা যে ওই “স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে তারা আসলে কী চায়।”

তবে “শব্দের মধ্য দিয়ে কাউকে গোত্রভুক্ত করার প্রয়োজন নাই” জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “বরং, তাদের বৈধ অধিকার থাকলে সেটা যেন তাদেরকে দেওয়া হয়। যেমন, তাদের ভূমির অধিকার যেন সংরক্ষণ করা হয়। সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। তাদের শিক্ষা, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, আর্থিক উন্নতি এগুলোর দিকে রাষ্ট্রের গুরুত্ব দেওয়া দরকার।”