আত্মশুদ্ধি ও কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ফকিরাছড়ি শাখা বন বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ১৪ তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার সকালে বিহার প্রাঙ্গণে বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপুরস্কার দান, পিণ্ডুদান ও হাজার প্রদীপদান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে দুপুর ২টায় কল্পতরু ও কঠিন চীবর শোভাযাত্রা মঞ্চে আনায়নের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এ সময় পঞ্চশীল গ্রহণ, কল্পতরু ও কঠিন চীবর দানসহ বিভিন্ন দ্রব্য দান উৎসর্গ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে কঠিন চীবর বুনন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। বহু বছর আগে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়ম অনুসারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি, রং করা, কাপড় বোনা ও চীবর তৈরি করে ভিক্ষুদের নিকট দান করা হয়। পাশাপাশি বাজার থেকে কাপড় কিনে সেলাই করেও চীবর দান করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, স্থানীয় হেডম্যান সম্রাট প্রমুখ। মূল অনুষ্ঠানে ফকিরাছড়ি ক্যাম্প অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মো. সাইভ ভিক্ষুসংঘকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
দ্বিতীয় পর্বে স্থবির বরণ লক্ষে আর্য পাল মহাস্থবির, শ্রীমিত্র স্থবির ও পূণ্য সিদ্দি স্থবিরকে ক্রেস্ট প্রদান করেন মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি লাল কুমার চাকমা এবং সাবেক দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান মিসেস তরুণ মুনি চাকমা । এ সময় উপাসিকা রিনা চাকমা ভিক্ষুসংঘের নিকট কঠিন চীবর দান করেন।
অনুষ্ঠানে ধর্মদেশনা প্রদান করেন আর্য পাল মহাস্থবির ও কল্যাণ কীর্তি মহাস্থবির।
দু’দিনব্যাপী এ ধর্মীয় উৎসবে স্থানীয় ভিক্ষুসংঘ, উপাসক-উপাসিকা ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।