পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুগারক্রপ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ রোপণ মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের রেশম বাগান এলাকায় ৯ টি ফ্লটে ইক্ষু চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে প্রান্তিক চাষীরা।
সম্প্রতি রেশম বাগান সংলগ্ন তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি ইক্ষু গাছ। চাষীরা ইক্ষু গাছ কেটে বেপারিদের কাছে বিক্রি করছে আবার কেউ কেউ ইতিমধ্যে ইক্ষু বিক্রি করে দিয়েছে।
ইক্ষু চাষী মায়াদেবী তঞ্চঙ্গ্যা (৩৬) বলেন, উন্নয়ন বোর্ডের সুগারক্রপ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ২৪- ২৫ রোপণ মৌসুমে আমি ৬০ শতাংশ জমিতে ইক্ষুর চাষ করি। পাইকারি ব্যবসায়ীরা আমাদের থেকে প্রতি পিস ইক্ষু ২২ থেকে ২৫ টাকা করে কিনে নেন। ইতিমধ্যে কিছু ইক্ষু বিক্রি করে দিয়েছি, আমি আখ চাষ করে লাভবান হয়েছি।
ইতি তঞ্চঙ্গ্যা (৩৫) বলেন এই বছর আমি প্রায় ১ একর জমিতে ইক্ষুর চাষ করেছি, মোটামুটি ভালো ফলন হয়েছে। আমি বিক্রি করে লাভবান হয়েছি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুগারক্রপ জোরদারকরণ প্রকল্পের কনসালটেন্ট ধনেশ্বর তঞ্চঙ্গা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুগারক্রপ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ২০২৪- ২০২৫ রোপণ মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের রেশম বাগান তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া এলাকায় ৯ টি ফ্লটে ইক্ষু চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে প্রান্তিক চাষীরা।
প্রকল্প হতে প্রত্যেকটি প্লটে ১ বিঘা করে ইক্ষুর চাষ করার জন্য চাষীদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলেো অনেকে নিজ উদ্যোগে আরোও বেশী করে কৃষি জমিতে ইক্ষুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে গাছ লাগার পর ফলন আসে ২০২৫ সালে আগস্ট মাসে। বিএসআরআই আখ-৪২ ( রং বিলাস) জাতের ইক্ষু চাষ করেছেন কৃষকরা।