রাঙামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের মধ্যে অনেক একটি মনোমুগ্ধকর জায়গা। এর পরিবেশও সুন্দর। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং বন্যপ্রাণী। নিজ চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না এটা অনেক সুন্দর।
বৃহস্পতিবার সকালে উদ্যান পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জল বায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.ফারহিনা আহমেদ।
তিনি সরকারি সফরে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, কাপ্তাই ও কর্ণফুলী রেঞ্জের এএনআর বাগান পরিদর্শন কালে বন বিভাগের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এ মন্তব্য করেন।
তিনি কর্ণফুলী রেঞ্জের খালের মুখ বিটে শতবর্ষী ১৯২৭সালের সেগুন গাছ দেখে এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। ১৯০৮ সালে সৃজিত বন বিভাগের সুন্দর বাগান এবং রেস্ট হাউজ দেখেও তিনি মুগ্ধ হন।
সফরের অংশ হিসাবে এদিন তিনি কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফ আই ডিসি) এর প্রতিষ্ঠান কাপ্তাই এলপিসি ফার্নিচার এর বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। এসময় তিনি কাজের গতি দেখে সকলকে উৎসাহ প্রদান করেন।
এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই সামাজিক বনায়ন কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত হওয়া আগর চাষীরা তাঁদের আগর চাষ মেয়াদ শেষ ও কর্তন বিষয় সচিবের সাথে কথা বলেন।সচিব আগর চাষির বিভিন্ন কথা শুনেন এবং আগর কর্তন বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
- পরিদর্শনকালে বিএফআইডিসি যুগ্মসচিব ও অর্থ বিভাগের পরিচালক ড.মাহামুদুর রহমান ভূইয়া, রাঙামাটি বন বিভাগের বন সংরক্ষক( সিএফ) আব্দুল আউয়াল সরকার, চট্টগ্রাম সার্কেলের বন সংরক্ষক ড.মোল্লা রেজাউল করিম পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব মো. শাহাদাত হোসেন, রাঙামাটি ঝুম নিয়ন্ত্রণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা( ডিএফও) ড.জাহিদুর রহমান মিয়া, কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান , উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন ও সোহেল রানা, কাপ্তাই এলপিসি ইউনিট সহ-মহা ব্যবস্থাপক তীর্থ জিৎ রায় সহ বন বিভাগের এসিএফ ও রেঞ্জ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।