রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের কাপ্তাই ১০আর-ই ব্যাটালিয়ন একটি অসহায় দুস্থ জেলে পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ শেষে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
রাঙামাটি সদর উপজেলার ২নং মগবান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের একটি ছোট দ্বীপের মধ্যে বসবাস করে অসহায় দুস্থ একটি পাহাড়ি জেলে পরিবার।
দীর্ঘ বছর যাবত দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অসহায় পরিবারটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করে আসছে। বৃষ্টি, প্রখর রোদ্রে এবং ঝড় তুফানে ওই জরাজীর্ণ ঘরটিতে বসবাস করে আসছেন জেলা ফুলেশ্বর চাকমা (৪৭)। ৩ ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তাঁর দুঃখের সংসার। নেই কোন দরজা জানালা, নেই বেড়া বা ছাদ , ছেঁড়াফাটা, জাল পেঁচিয়ে ঘরেরবেড়া দিয়ে বসবাস করে আসছে বছরের পর বছর যাবত ।
কাপ্তাই ১০আর ই ব্যাটালিয়ন এই জেলে পরিবারের সরজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে নতুন একটি গৃহ নির্মাণ করে দেয়।
এসময় অসহায় জেলে পরিবার ফুলেশ্বর চাকমা জানান, আমি স্ত্রী, পরিবার পরিজন নিয়ে ভাংগা ঘরে অনেক বছর যাবত কষ্ট করে আসছি। সেনাবাহিনী আমাকে নতুন ঘর টিন দিয়ে তৈরি করে দিয়েছে।
তাঁর জন্য আমি সেনাবাহিনীর জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ১১৫নং মৌজার হেডম্যান সুদীপ দেওয়ান জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব ও অহংকার। ব্যাটালিয়নের পক্ষ হতে অসহায় পরিবারকে যে নতুনগৃহ তৈরি করে দিয়েছে আমরা তার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাহামুদুল হক জানান, এই পরিবারটি ভাংচুরা জরাজীর্ণ ঘরে বহুদিন যাবত কষ্ট করে আসছে।সেনাবাহিনী এই অসহায় পরিবারকে নতুনগৃহ নির্মাণ করে দেয়ায় আমরা ইউনিয়নের পক্ষ হতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি।
এদিকে বুধবার ১১টায় ১০আর ই ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃকর্ণেল এ এস এম সাদিক শাহরিয়ার পিএসসি উপস্থিত থেকে অসহায় জেলে পরিবারের নিকট নতুন গৃহের চাবি হাতে তুলে দেন।
এ সময় অধিনায়ক লেঃকর্ণেল এ এস এম সাদিক শাহরিয়ার জানান,আমরা দুস্থ অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে সাধ্যমত সাহায্য করার চেষ্টা করি এবং অসহায় পরিবারের জীবন,জীবিকা ও এলাকার উন্নয়ের জন্য সহযোগিতা করে থাকি। জীবন, জীবিকা শান্তি শৃঙ্খলার উন্নয়নসম্প্রীতি বজায় রাখা সেনাবাহিনীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ব্যাটালিয়নের পক্ষ হতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম শান্তি ও সম্প্রীতি উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাবে।এসময় সেনাবাহিনীর অফিসার, হেডম্যান, কার্বারী ও ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।