সোমবার, নভেম্বর ৩, ২০২৫
মূলপাতাদুর্ঘটনাকাপ্তাই চা বাগানে  বন্য হাতির তান্ডব

কাপ্তাই চা বাগানে  বন্য হাতির তান্ডব

রাঙামাটির  কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে  অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি।

১৭ টি দলের এই  বন্যহাতির তান্ডবে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের শ্রমিকের ঘরবাড়ি,  অনেক গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।

বিশেষ করে বাগানের ২ নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা ইতিমধ্যে তাদের বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে চলে এসেছেন। এই সেকশনে অনেক ঘর ইতিমধ্যে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, হাতির তান্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)   রাত ৩ টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহ এর বসতবাড়ি।

এসময় তিনি সহ তাঁর স্ত্রী পুত্ররা ঘর হতে বের হয়ে কর্ণফুলি নদী হয়ে ইঞ্জিন চালিত বোটে এপারে পার হয়ে কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পাই।

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা করে ঘরে ডুকতে চাইছে। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। মুহূর্তে স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছনে  আমরা কোন রকম পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই  অং মারমা বলেন,  বিগত এক মাস ধরে ১৭ টি দলের একটি হাতির দল বাগানে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে হাতির দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে বাগানের গাছ পালা, বসতবাড়ি  ক্ষতিগ্রস্ত করে। চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন,   বিগত এক মাস ধরে হাতিদের একটি দল ওয়াগ্গা  চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে ৷  তাদের দলে সদস্য সংখ্যা ১৭টি ৷ সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে ৷

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক  স্বাধীন বলেন, দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হবার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Google search engine
Google search engine
Google search engine

Recent Comments