টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় শরীরে পচনধরে কষ্টে দিন পার করছিলেন রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের জারুলবাগান এলাকার হতদরিদ্র ৭০ বছরের রাহিমা বেগম।
এধরণের মর্মান্তিক একটি খবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোনের নজরে আসলে,লংগদু জোনের জোন অধিনায়ক লে.কর্নেল মীর মোর্শেদ এসপিপি পিএসসি উক্ত বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসা খরচ বাবদ নগদ টাকা প্রদান করেন।এছাড়াও একই সময় কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের গলায় টিউমারে আক্রান্ত ১২ বছরের শিশুকে টিউমার অপারেশনের সম্পূর্ণ খরচ নগদ প্রদান করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে লংগদু জোনের উপ- অধিনায়ক মেজর হোসাইন মোহাম্মদ মারুফ”র ব্যবস্থাপনায়,অত্র জোনের ক্যাপ্টেন রাহাত হতদরিদ্র দুটি পরিবারের হাতে চিকিৎসা বাবদ নগদ অর্থ তুলেদেন।
নগদ অর্থ হাতে পেয়ে, কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের পুঙ্গ আহছান উল্লাহ বলেন, বহুদিন ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য মানুষের ধারে ধারে ঘুরেছি কিন্তু দশ টাকা বিশ টাকা করে এক সাথে করতে পারিনি, যার জন্য আর্মি ক্যাম্পে আসি। স্যারেরা আমার ছেলেকে টিউমার অপারেশন করাতে সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে দেন।তিনি আবেগে আপ্লূত হয়ে বলেন, আমি আর্মির এমন সহযোগিতার কথা সারাজীবন মনে রাখবো।
অপরদিকে মাইনী ইউনিয়নের জারুলবাগানের শরীরে পচন ধরা রাহিমা বেগমের একমাত্র হতদরিদ্র ছেলে বলেন, মায়ের চিকিৎসা করাতে না পেরে ধীরে ধীরে মায়ের পুরো পা পচে যাচ্ছিলো। গতকাল আমার মায়ের এমন পরিস্থিতি সেনাবাহিনী জানতে পেরে সাথে সাথে আমাকে কল দিলেন জোন থেকে একজন স্যার। ফোন দিয়ে বলে সকালে জোনে আসতে। সেনাবাহিনী আমাকে যে সহযোগিতা করেছেন তা আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য অতুলনীয়। আমি আর আমার পরিবার সেনাবাহিনীর প্রতি ঋণী থাকবো।
জোন অধিনায়ক লে.কর্নেল মীর মোর্শেদ এসপিপি পিএসসি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা দেশ মানব কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই মানবিক কার্যক্রম। সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে এধরণের মানবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।