রাঙামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু সীমাঘরে ৭০ জন শ্রামণদের উপসম্পদা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাত টা থেকে শুরু হয় দুই পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যা সাত টায়। ঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো পুণ্যার্থী নতুন উপসম্পদা নেয়া ভিক্ষুদের নানান দান অর্পন করেন।
এ সময় বুদ্ধ কি জয় বনভান্তে কি জয় ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে রাজবন বিহার আশপাশ।
এ উপসম্পদা অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে বৌদ্ধ পন্ডিত বনভান্তের উপাধ্যায় সংগীতিকারক ভিক্ষু প্রিয়দর্শী মহাথের ও বৌদ্ধ পন্ডিত ধর্মপ্রিয় মহাথের উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রাঙামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান জেলার বিভিন্ন শাখা বন বিহারের আবাসিক প্রধান ভিক্ষুরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান দেখতে পুন্যার্থীরা জড়ো হন রাজবন বিহারে।
প্রসঙ্গত করুনাবংশ ভিক্ষু, ইন্দ্রগুপ্ত ভিক্ষু, পন্থক ভিক্ষু, আর্যবোধি ভিক্ষুসহ কতিপয় বনভান্তে শিষ্য রাজবন বিহারে ২০০৮ সালে সীমাঘরটি বিনয় সম্মত হয়নি অভিযোগ তোলে বিতর্ক সৃষ্টব করে। এ বিতর্ককে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি করলে গত ৭ জানুয়ারী নিয়মিত উপসম্পদা প্রদান অনুষ্ঠান স্থগিত ছিল। পরে বনভান্তে ভিক্ষু সংঘ অনুসন্ধান করে ঘোষণা করে রাজবন বিহার সীমাঘর পরিশুদ্ধ আছে। এ ঘোষণার পর আজ রাজবন বিহারের সীমাঘরে ৭০ জন শ্রামণকে উপসম্পদা প্রদান করা হয়।
এ উপসম্পদা প্রদান অনুষ্ঠানে উপাধ্যায় গুরু ছিলেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বনভান্তে ভিক্ষু সংঘের প্রধান ভদন্ত প্রজ্ঞালংকার মহাথের। সিনিয়র ভিক্ষুদের মধ্যে বিমলানন্দ মহাথের, জ্যোতিসার মহাথের, বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরসহ ৩০ জনের অধিক মহাথের ভিক্ষুসহ দুই শতাধিক ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন।
এ উপসম্পদা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজবন বিহারে বিরাজ সারাদিন ছিল সাজ সাজ রব।
মঙ্গলবার উপসম্পদা নেয়া ভিক্ষুদের বুধবার সকালে রাজবন বিহারে সংবর্ধনা দেয়া হবে।