তুলা অর্থকরী সম্ভাবনার ফসল। তুলা চাষাবাদের অন্যতম সম্ভাবনার অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রাম। তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় তুলা চাষাবাদে এ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এতে পাহাড়ে তুলাচাষে ফিরবে অতীতের কার্পাস মহলের জৌলুস। ১৯ এপ্রিল রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলাচাষ সম্প্রসারণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এ সম্ভাবনার তথ্য প্রকাশ করেন কৃষক ও কৃষিবিদরা।
তুলা উন্নয়ন বোর্ড, রাঙামাটি জোনের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক এএইচ মো. কায়কোবাদ।
এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আহবায়ক ক্যচিংমং মারমা, রাজস্থলীর তুলা চাষী বিপ্লব তঞ্চঙ্গ্যা, কাউখালীর পপি মারমাসহ অন্য তুলা চাষীরা।
কর্মশালায় অংশীজনরা বলেন, এটি লাভজনক হওয়ায় তুলা চাষাবাদে উৎসাহী হয়ে উঠছেন বহু কৃষক। এককালে প্রচুর তুলা উৎপাদন হতো বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিচিতি ছিল কার্পাস মহল। কিন্তু পরে চাষাবাদ কমে যাওয়ায় সেভাবে আর প্রচুর তুলার উৎপাদন নেই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে। বর্তমানে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধানে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় তুলার চাষাবাদ হচ্ছে। এতে পাহাড়ের মাটি ও পরিবেশের উপযোগিতার ফলে আশাব্যঞ্জক তুলার উৎপাদন হচ্ছে। তাই ব্যাপক চাষাবাদে আবারও প্রচুর তুলা উৎপাদন সম্ভব পাহাড়ে, যার সম্ভাবনা ইতোমধ্যে চাষাবাদে স্পষ্ট হয়েছে।
তারা জানান, এ অঞ্চলে বর্তমানে প্রতিবিঘা জমিতে চাষাবাদ করে উৎপাদন হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ মণ তুলা বা ৪০০-৬০০ কেজি, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তবে পাহাড়ে তুলা চাষে পানি সেচের ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা, বাজারজাতকরণসহ যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় কৃষকদের সহায়তা দিতে হবে।