অবাধে সেগুন গাছ লাগানোর ফলে এবং বাঁশঝাড় কাটার কারণে সুবলং ঝর্নাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ঝিরি-ঝরনাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।
স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকাল গভর্মেন্ট ইনিশিয়েটিভে অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজিত জেলা লজিক ইয়থ গ্রুপ গঠন ও মতবিনিময় সভায় প্রধনা অতিথির বক্তব্যে মত প্রকাশ করেন কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।
তিনি আরো বলেছেন, পাহাড়ের প্রকৃতিক বনাঞ্চল পাহাড়ের ঝিরি-ঝর্নার পানি ধরে রেখেছে। পাহাড়ের বনাঞ্চল হলো ওয়াটারশেড। এ পানি পাহাড়ের মানুষ ব্যবহার করে।
পাহাড়ের এই ঝিরি-ঝর্না, ছড়াগুলো পাড়ার পথে নিয়ে যেত, আমাদের ট্রেডিশনের সঙ্গে এই ছড়াগুলো জড়িত। এগুলো আমাদের রক্ষা করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে আপনারা আর সেগুন গাছ লাগাইয়েন না, বাঁশ গাছ লাগান।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অ্যানেক্স হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লজিক প্রজেক্টের মনিটরিং স্পেশালিস্ট টিএম সেলিম, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাং শাহজাহান ।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রজেক্টের ক্লাইমেট চেঞ্জের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর আমেনা ইয়াসমিন, ইয়ুথ এনগেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটর শাকিলা ইসলাম, গ্লোবাল ইয়থ সমন্বয় শাহ রানু রহমান, ইয়ুথ অর্গানাইজেশার পপি আক্তার, সুজাতা চাকমা প্রমুখ।
আলোচনা সভার আগে সকালে জেলা সভায় জলবায়ু পরিবর্তনরোধে স্থানীয়ভাবে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, বরকল, লংগুদু ও রাঙামাটি সদর উপজেলার যুবাদের নিয়ে মো.রাহিদকে সভাপতি, নুসরাত জাহান বৃষ্টিকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট্য জেলা লজিক যুব কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।
এর আগে শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে একটি র্যালি শুরু হয়। র্যালীটি জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।