পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে দেশে বিদেশে সুপরিচিতি মোনঘরের সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর পূর্তি) উদযাপন উপলক্ষে দু দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুক্রবার উদ্বোধন করা হয়েছে।
বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
উদ্বোধনী দিন র্যালী, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা।
মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক গৌরিকা চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন. চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশীষ রায়, মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী।
পাহাড়ে শান্তি নিকেতন হিসেবে পরিচিত ১৩টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষা প্রসারে বিগত ৫০ বছর ধরে কাজ করে আসছে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি।
১৯৭৪ সালে রাঙামাটি শহরের অদুরে রাঙ্গাপানি এলাকায় চার একর জমিতে বৌদ্ধ ভিক্ষু জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের কয়েকজন শিয্য বিমল তিষ্য ভিক্ষু, প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু ও শ্রদ্ধালংকার ভিক্ষু প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেন মোনঘর শিশু সদন।
মোনঘর” শব্দের অর্থ পাহাড়ে জুম চাষের জন্য চাষীদের থাকার অস্থায়ী আশ্রয়স্থল। যতদিন পর্ষন্ত চাষীরা জুমের ধানের বীজ থেকে অন্যান্য ফলন মোনঘরে তূলতে না পারে ততক্ষন পর্ষন্ত এই আশ্রয়স্থলে থেকে কাজকর্ম চালিয়ে যায় জুমিয়ারা। ঠিক তেমনি পাহাড়ের ১৩টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্বা চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা,তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, বম, খুমি, লুসাই, ম্রো,খিয়াং, পাংখোয়াসহ অসহায় ছিন্নমূল অনাথ, গরীব ও মেধাবী ছেলে-মেয়েদের মোনঘরে আশ্রয় দিয়ে শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা হয় ।