রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক বরাদ্ধকৃত জুরাছড়ি উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক।
রবিবার তিনি জুরাছড়ি পরিদর্শনে তিনি বলেন পার্বত্য জেলার দুর্গম স্কুলগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও দক্ষ শিক্ষকের সংকট রয়েছে। এ অবস্থায় ইন্টারনেটভিত্তিক দূরশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে পার্বত্য মন্ত্রণালয়।
দুপুরে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা সম্মেলন কক্ষে স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, ভালো শিক্ষক ছাড়া ভালো শিক্ষার্থী তৈরি হয় না, আর ভালো শিক্ষার্থী ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষার মান উন্নয়নে ই-লার্নিং ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হবে।
পার্বত্য সচিব খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।
মতবিনিময় সভার আগে সচিব পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়িত সেচপাম্প, ড্রেন ও রাস্তা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি জুরাছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউএনডিপি ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রকল্প ইআরআরডি-সিএইচটি এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়িত “অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে নারী ও মেয়ে শিশুর ক্ষমতায়ন” প্রকল্পের আওতায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ঘুরে দেখেন। পরে বিইআরসিআর কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ছালেহ আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন শাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা, উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা, দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান শান্তি রাজ চাকমা, রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর মো. মরশেদুল আলম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অনিল বরন চাকমাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় হেডম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।