উজান থেকে পানি আসায় বিপদ সীমা স্পর্শ করেছে কাপ্তাই বাঁধের পানি।
বাঁধের পানি উপচে পড়া রোধে তৃতীয় বারের মতো ৬ ইঞ্চি করে ছাড়া হলো কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের( কপাবিক) ১৬ টি জলকপাট।
এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান। তিনি বলেন, হঠাৎ করে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়ায় সোমবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের পর ১০৮.৬৫ ফুট মীনস সি লেভেল অতিক্রম করায় অথাৎ বীপদ সীমা অতিক্রম করায় এদিন ২ টা ৪৫ মিনিটে বাঁধের ১৬ টি দরজা দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
প্রসঙ্গত : চলতি বছরের গত জুলাই মাসের শেষে এবং আগস্ট মাসের শুরুতে দেশে ও ভারতের মিজোরামের প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বীপদ সীমার উপর অতিক্রম করায় অথাৎ ১০৯ ফুটের প্রায় কাছাকাছি চলে আসায় গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে প্রথমবারের মতো কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি দরজা ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এরপর কেন্দ্রের জলকপাট দেড় ফুট, পরবর্তীতে আড়াই ফুট এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে পানি ছাড়ার ৭ দিন পর হ্রদের পানির উচ্চতা কমে আসায় গত ১২ আগস্ট সকাল ৯ টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর হঠাৎ করে আবারও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মুহূর্তে মুহূর্তে হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় অথাৎ বিপদ সীমার উপর অতিক্রম করায় ফের দ্বিতীয় বারের মতো গত ২০ আগস্ট বুধবার রাত ৮ টায় বাঁধের ১৬টি দরজা ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এতে করে কাপ্তাই
হতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হয়েছিল।