রবিবার, আগস্ট ৩, ২০২৫
মূলপাতাপার্বত্য চট্টগ্রামরাঙামাটিপ্রাণ ফিরেছে কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে

প্রাণ ফিরেছে কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে

দীর্ঘ ৩ মাস ২ দিন পর রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও প্রাণ ফিরেছে রাঙামাটির কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে।

রবিবার (৩ আগস্ট) সকাল ৭ টায় কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এখানে ক্রেতা বিক্রেতাদের সরগরম এ মুখরিত অবতরণ কেন্দ্রের পল্টুন ঘাঁট। কাপ্তাই লেক ধরে বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল সহ বিভিন্ন উপজেলা হতে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে জেলেরা মাছ নিয়ে আসছেন এই অবতরণ কেন্দ্রে। সারি সারি চাপিলা, কাচকি, আইড়, বাইম মাছ, ফলি মাছ সহ নানা জাতের মাছের ড্রাম নিয়ে ভীড় করছে জেলের বোট। আর ব্যবসায়ীরা শুল্ক পরিশোধ করে সেসব মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে বরফ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে তুলছে ট্রাকে। ব্যবসায়ী এবং জেলেদের মাঝে দীর্ঘদিন পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এসময়  সবাইকে  ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

এদিকে এদিন সকাল ৭ টায় এই অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা পাই কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন উপ কেন্দ্রের প্রধান জসিম উদ্দিনকে। এসময় তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন,  ২ আগস্ট মধ্য রাত হতে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। আজ( রবিবার)  সকাল ৬ টা হতে জেলেরা কাপ্তাই লেক হতে মাছ ধরে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে   এই অবতরণ কেন্দ্রে  মাছ নিয়ে আসছেন। বিশেষ করে লেকে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় বড় মাছ পাওয়া না গেলেও ছোট মাছের মধ্যে কাচকি, চাপিলা মাছ এবং মাঝারি সাইজের আইড় মাছ নিয়ে তাঁরা এসেছেন। এখানে এসে আমাদেরকে শুল্ক পরিশোধ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাকে করে মাছ নিয়ে যাচ্ছেন। আজ দিনশেষে আমরা বলতে পারবো প্রথমদিন কি পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে এবং কি পরিমাণ মাছ এই অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে।

অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় মৎস্য ব্যবসায়ী হোসেন সওদাগর, মো: আলমগীর হোসেন, মো: আমিন শরীফ এবং মো: সৈয়দ সওদাগরের সাথে। তাঁরা বলেন, আজকে এখানে চাপিলা, কাচকি, আইড়, ছোট চিংড়ি মাছ এসেছে। পানি বেশি থাকায় বড় মাছ ধরা পড়ে নাই, পানি কমলে বড় মাছ ধরা পড়বে। এই মাছ গুলো ব্যবসায়িরা বরফ দিয়ে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।

কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির দপ্তরে কথা হয় সমিতির  সভাপতি বেলাল হোসেনের সাথে। তিনি  বলেন,এখন লেকে পানি বেশি থাকার কারণে প্রথম দিনে মাছ আহরণ তুলনামূলক কম হলেও আমরা আশাবাদী ভবিষ্যতে পানি কমে গেলে আরো বেশি মাছ পাওয়া যাবে। দীর্ঘ তিন মাস দুইদিন পরে মাছ ধরা শুরু হওয়াতে আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। বর্তমানে এখন ছোট চিংড়ি, কাচকি,চাপিলা,আইড়,বাইম সহ অন্যান্য মাছ ধরা পড়ছে। তবে লেকের পানি কমে গেলে বড় জাতের মাছ পাওয়া যাবে। এইসব মাছ স্থানীয় বাজার, রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম সহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান।

প্রসঙ্গত: প্রতি বছরের ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাসের নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা শেষে লেকে মাছ ধরা শুরু হলেও এই বছর বিএফডিসির প্রস্তুতির জন্য আরও ২ দিন বাড়িয়ে ২ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বর্ধিত করা হয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Google search engine
Google search engine
Google search engine

Recent Comments