প্রতি বছর পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি হামলায় দীর্ঘ হয় নিহতের তালিকা। বিগত বছরেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। এ বছরে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ইউপিডিএফ। ২০২৪ সালের এক বছরে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতে ইউপিডিএফের নেতা কর্মী সমর্থক নিহত হয়েছে ১১ জন।
২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে প্রতিপক্ষের স্বশস্ত্র সদস্যদের গুলিতে রবি কুমার চাকমা ও শান্ত চাকমা ওরফে বিমল খুন হন।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়িত নিপন চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা করেন প্রতিপক্ষের স্বশস্ত্র সদস্যরা।
১ জুন চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের চাইল্যাচর গ্রামে রেদাসে মারমা নামে ইউপিডিএফের সাবেক কর্মীকে হত্যা করা হয়।
৮ জুন খাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রতিপক্ষের স্বশস্ত্র সদস্যরা বরুণ বিকাশ চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ সমর্থকে হত্যা করে।
২৭ জুলাই খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জুনেল চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা করা হয়।
২৬ অক্টোবর পানছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র হামলায় নিশান্ত চাকমা নামে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত হয়।
১৪ অক্টোবর খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা নামে এক ইউপিডিএফ সমর্থককে হত্যা করা হয়।
৩০ অক্টোবর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় মন্যা চাকমা (সিজন). খরকসেন ত্রিপুরা (শাসন) ও পরান্টু চাকমা (জয়েন) নামে তিন ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হয়।
১০ নভেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সংগঠক ও সাবেক পিসিপি নেতা মিটন চাকমা নিহত হন।
পার্বত্য চুক্তিকে বিরোধীতা করে পূর্ণ শায়ত্বশাসনের দাবীতে ১৯৯৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর আত্ম প্রকাশ করে ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। সংগঠন আত্ম প্রকাশের পর থেকে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দল জেএসএসের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। সংগঠনটির গঠনের এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৭৩ জন।
ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচার বিভাগ নিহতের সংখ্যার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এ হত্যাকান্ডের অধিকাংশ জেএসএস মুল দল এবং ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছে ইউপিডিএফ।