রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৩ জনকে আটক করেছে কাপ্তাই থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন এর পূর্ব পাড়া নবগ্রাম এলাকার মো: ইলিয়াস মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর(২৪) এবং একই এলাকার মো: বদি আলমের ছেলে মো: রাকিব(২২)। এছাড়া আটককৃত অপর জন হলেন একই ইউনিয়ন এর ফেরিঘাট আমতলী এলাকার মো: হানিফ এর ছেলে মোঃ শহিদ প্রকাশ শ্রাবণ(১৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রবিবার (১৭ আগস্ট) রাতে কাপ্তাই থানার ওসি মোহাম্মদ কায় কিসলু বলেন, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার ড: এস এম ফরহাদ হোসেন এর নির্দেশনায় কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কাপ্তাই থানা পুলিশ এর সদস্যরা চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত হতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে গতকাল শনিবার(১৬ আগস্ট) রাত হতে রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ এর সহায়তায় পৃথক পৃথক অভিযানে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন এর বনগ্রাম, নবগ্রাম এবং ফেরিঘাট আমতলী হতে ৩ জনকে আটক করা হয়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকি আসামিদের আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি জানান।
প্রসঙ্গত: একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টায় কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হাসপাতালের গাড়ি এবং ফার্মেসী ভাংচুর করে। এই ঘটনায় বাঁধা দিলে তাঁরা হাসপাতালে কর্মরত ৪ জন নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে আহত করে বলে অভিযোগ করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা: প্রবীর খিয়াং। হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সিমসন চাকমা বাদি হয়ে কাপ্তাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।