সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫
মূলপাতাপ্রধান খবরজাতীয় সনদ তৈরিতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে

জাতীয় সনদ তৈরিতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে

পার্বত্য তিন জেলার জনগোষ্ঠী ও ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় সনদ তৈরি করা দরকার। এ এলাকার ভৌগলিক বাস্তবতার বিবেচনায় পাহাড়ের জন্য পৃথক শিক্ষা কমিশন গঠন করা দরকার। সারা দেশে উন্নয়ন পরিকল্পনা আর পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ভিন্নভাবে দেখতে হবে। কারণ ভৌগলিক বাস্তবতায় সমতলের যে প্রকল্প নির্ধারণ করা হয় সেটি পাহাড়ের ভৌগলিক বাস্তবতায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।

সোমবার  সকালে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে  জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ নিয়ে রাঙামাটিতে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর ‘নাগরিক সংলাপ’ থেকে এ আহবান জানান বক্তারা।

এতে তিন (রাঙামাটি বান্দরবান খাগড়াছড়ি) পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সুশীল সমাজের ৭০ জন নাগরিক অংশ নেন।

সুজনের রাঙামাটি জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলিপ কুমার সরকার।

এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতেয়ার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জুলিকা খীসা, ইন্টুমনি তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, সুজন বান্দরবান জেলা সভাপতি ডনাইপ্রু নেলী প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন -দেশের এক-দশমাংশ অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে অবহেলিত।এখানকার জনগোষ্ঠী ও ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় সনদ তৈরি ও পাহাড়ের জন্য পৃথক শিক্ষা কমিশন গঠনের আহবান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলিপ কুমার সরকার বলেন -‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। তাই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নাগরিক সংলাপ আয়োজন করেছে সুজন’।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Google search engine

Recent Comments