শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
মূলপাতাঅপরাধচবির ৫ শিক্ষার্থীকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা

চবির ৫ শিক্ষার্থীকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা

খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও অপহৃতদের  দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৮৩ জন আদিবাসী শিক্ষার্থী এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবী জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয় গত ১৬ এপ্রিলসকাল সাড়ে ৬ টায় খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল জায়গা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হয়।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এ অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িত। ইউপিডিএফ কর্তৃক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এমন অপহরণ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তীব্র নিন্দা এবং অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয় অপহৃত শিক্ষার্থীরা বিঝু উৎসব উপলক্ষে বন্ধুদের সাথে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে যায়। বিঝু শেষে গত ১৫ এপ্রিল তারা চট্টগ্রামে ফেরার উদ্দেশ্যে বাঘাইছড়ি থেকে দিঘীনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে চলে আসে। সেখানে গতকাল (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামগামী বাসের টিকিট না পাওয়ার কারণে তারা পাঁচজনে খাগড়াছড়ি শহর থেকে কিছু দূরে কুকিছড়া নামক জায়গায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করে।

১৬ এপ্রিল সকালে কুকিছড়া থেকে টমটম গাড়ি যোগে খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল নামক এক জায়গায় তাদের গাড়ি আটকানো হয় এবং টমটম গাড়ির ড্রাইভারসহ ৫ জন শিক্ষার্থীকে গিরিফুল নামক জায়গা থেকে এক অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে টমটম ড্রাইভারকে ছেড়ে দিলেও পাঁচজন  শিক্ষার্থীর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

আমরা মনে করি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন অপহরণ ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সারা বাংলাদেশে মানবাধিকার বিরোধী ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার পরিপন্থী। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের ওপর এমন ঘৃণ্য ঘটনা আমাদের জন্য আত্মবিধ্বংসী কাজ। তাই আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অপহৃত ৫ জন শিক্ষার্থীকে অতিদ্রুত নিঃশর্তভাবে সুস্থ শরীরে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি এবং এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য যথাযথ প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত অপহৃতদের মধ্যে একজন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সমর্থিত ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য আছেন। এ অপহরণের ঘটনার জন্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চবি শাখার তথ্য প্রচার সম্পাদক রিবেক চাকমা এ অপহরণ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে। তবে ইউপিডিএফ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Google search engine

Recent Comments