গত ৪ এপ্রিল রাঙামাাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার মহসীন কলোনীতে এক নারীকে হত্যাকান্ডের রহস্য বের করতে সক্ষম হয়েছে রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে আসামীসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ৪ এপ্রিল রাতে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার মহসনি কলোনী এলাকায় কাজী ওমর ফারুকের বিল্ডিংয়ের নীচতলায় ভাড়া দেওয়া তালাবদ্ধ অজ্ঞাত মাহলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মহিলার আঙুলের ছাপ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে মহিলার নাম খাদিজা আক্তার (৪২)। খাদিজা। বাঘেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানায় মৃত আকবর হাওলাদারের মেয়ে।
খাদিজা আক্তার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে খুলনায় জামাল হোসেনের হোটেলে কাজ করত। এ সুবাদে জামালের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এ সম্পর্ক ধরে টাকা খাদিজা জামালকে ৩ লাখ টাকা দেয়। খাদিজা। একদিকে এ টাকা অন্যদিকে বিয়ের জন্য জামালকে চাপ দিলে জামালকে চাপ দিতে থাকে খাদিজা।
গত ১ এপ্রিল জামাল হোসেন বেড়ানোর কথা বলে খাদিজাকে রাঙামাটিতে নিয়ে আসে। শহরের রিজার্ভ বাজারের মহসীন কলোনীতে একটি রুম বিশিষ্ট একটি ভাড়া বাসা নেয়।
সেদিনই রাতে খাদিজাকে হাত পায়ের রগ কেটে খুন করে খুলনায় পালিয়ে যায় জামাল। ৪ এপ্রিল আশপাশে পচা গন্ড ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বদ্ধ ঘরের তালা ভেঙ্গে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জামাল হোসনে মোল্লা (৪২) কে, গতকাল খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার লবনচরা থানা থেকে গ্রেফতার করে।
আসামীকে রাঙামটিতে এনে আসামীর তথ্য অনুযায়ী আসামীকে সঙ্গে নিয়ে মহনসীন কলোনীতে গিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি কাপ্তাই হ্রদ থেকে উদ্ধার করে।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দীন বলেন, স্বামী পরিত্যাক্তা ছিল ভুক্তভোগী খাদিজা। রাঙামাটি পুলিশের সহায়তায় রাঙামাটিতে খাদিজার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেছে। আগামীকাল আসামীকে আদালতে তোলা হবে।