রাঙামাটিতে আইএসডি উদ্যোগে চাকমা মারমা ত্রিপুরা ভাষার তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
তিন মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ শেষে শনিবার আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইএসডি ( ইনিশ্যাটিভ ফর সোসিয়াল ডেভেলপমেন্ট)।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য বৈশালী চাকমা।
সভার সভাপতিত্ব করেন প্রনব চাকমা।
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন মাতৃভাষা চর্চায় নিয়োজিত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাবে। তিনি প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা মাতৃভাষার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চ বি’র অধ্যাপক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা মাতৃভাষার স্বকীয়তা রক্ষায় স্ব স্ব লিপি চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি শিশুদের শিক্ষাদানের প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে মাতৃভাষায় পাঠদানের বহুমুখী উপযোগিতা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এছাড়া সভ্যতা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষায় লিখন পদ্ধতির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আইএসডি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশেষ বক্তা সোনামনি চাকমা বলেন, ২০১৭ সালে মাতৃভাষায় নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক ৫০ জন (চাকমা ৪০জন, মারমা ১০ জন) তারা সামাজিক দায়বদ্ধ থেকে এতদিন ধরে পাঠদান করে আসলেও কোন বেতন_ভাতাদি পাই নি । তাই সোনামনি চাকমা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে উল্লেখিত বিষয়ে শিক্ষকদের বেতন_ভাতাদি প্রদানের জন্যজোর দাবি জানান।
পরে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শেষাংশে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিল্পীরা।




