রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে জুরাছড়ি উপজেলায় বৃক্ষ রোপণ অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বায়েজীদ-বিন-আখন্দ এ বৃক্ষ রোপন অভিযানে অংশ নিয়ে স্থানীয় প্রজাতির চারা রোপন করে অভিযানের উদ্বোধন করেন ।
এ সময় থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আলমগীর হোসেন শাহ, ইউএনডিপির রাঙামাটি জেলা ব্যবস্থাপক বিহিত বিধান খীসা, ফ্রিলেন্স কনসাল্টটেন মংহ্লা মেয়ান্ট, রির্সোস স্টোরের ইন্সেট্রকাক্টর মো: মরশেদুল আলম, রাঙামাটি জেলা পরিষদের বাইওডায়ভারসিটি ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন ফর কমিউনিটি রেসিলিয়েন্স সিবিও তুহিন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ইউএনডিপির রাঙামাটি জেলা ব্যবস্থাপক বিহিত বিধান খীসা বলেন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পটির প্রধান লক্ষ্য হলো পার্বত্য চট্টগ্রামে জীববৈচিত্র্যসম্পন্ন প্রতিবেশ সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধার এবং কমিউনিটির অংশগ্রহণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এই লক্ষ্য অর্জনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জীববৈচিত্র্যনির্ভর জনগণের টেকসই জীবিকার উন্নয়ন, স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বিশেষ করে নারী নেতৃত্ব ও যুবকদের ক্ষমতায়ন, যাতে তারা নিজ এলাকায় স্থানীয় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে।“
রাঙামাটি জেলা পরিষদের বাইওডায়ভারসিটি ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন ফর কমিউনিটি রেসিলিয়েন্স জেলা কর্মকর্তা কামনা শীষ চাকমা বলেন আমাদের লক্ষ্য শুধু বৃক্ষরোপন নয়, বরং জীববৈচিত্র্য পুন:উদ্ধার ও কমিউনিটির টেকসই উন্নয়ন। স্থানীয় জনগণ, বিশেষত নারী ও কিশোরীদের অংশগ্রহণে আমরা একটি পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যৎ গড়ার পথে এগোচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পের আওয়াতায় রাঙামাটি পা্র্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে (জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, রাঙামাটি সদর ও লংগদু) পাঁচটি উপজেলায় স্থানীয় প্রজাতি ২৫ হাজার বিভিন্ন চারা রোপন করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বায়জীদ-বিন-আখন্দ বলেন, বৃক্ষ রোপন অভিযান একটি খুবই ভালো উদ্যোগ।
উল্লেখ্য , গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়ে এবং পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের বিশেষ প্রকল্প রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়িত Biodiversity Ecosystems Restoration for Community Resilience in the CHT প্রকল্পের আওতায় এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।