ভগবানের জন্ম এবং কর্ম দুটিই দিব্য। এমন দিব্য ভাদ্রকৃষ্ণাষ্টমী তিথিতে ভগবানের দিব্য লীলা কীর্তন করা এবং শ্রবণ করা দুই মঙ্গলজনক। লীলা কীর্তন কে বৈষ্ণব সাহিত্যে লীলা স্মরণ বলা হয়। কীর্তনীয়া কীর্তন করবেন আর শ্রোতা বর্গ স্মরণ করবেন এবং ভাগ্যবান ভাগ্যবতী যারা তারা ধ্যানে দর্শন ও করে থাকেন। ড: মহানাম ব্রত ব্রহ্মচারীর ভাষায়, কীর্তন শুধু গান নয় এটিই ভগবানের ভজন এবং সাধন। একমাত্র এই লীলা শ্রবন থেকে জীব শিক্ষা এবং ভগবানের প্রতি অচলা ভক্তি জাগানো সম্ভব।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রঘোনা কেপিএম কয়লার ডিপু প্রকল্প হরি মন্দিরে শনিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা হতে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত এমনই লীলা কীর্তন পরিবেশিত হলো যা শ্রবন করে শত শত ভক্তের মধ্যে কৃষ্ণ প্রেম উদয় হলো।
খোল, করতাল, বাঁশি আর মায়েদের উলুধ্বনি আর পিতাদের জয়ধ্বনীতে এই লীলা কীর্তন পরিবেশন করলেন চট্টগ্রামের নন্দিত লীলা কীর্তন শিল্পী বেতার ও টিভি শিল্পী সৌরভ সাহা ও তাঁর দল। এসময় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রীমদ্ভাগবত সংঘের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল মল্লিক।
কেপিএম কয়লার ডিপু হরি মন্দির পরিচালনা কমিটির নব নির্বাচিত কার্যকরি সভাপতি রতন মল্লিক এবং সাধারণ সম্পাদক রূপক মল্লিক রাতুল জানান, প্রতি বছর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে হরি মন্দির এর পক্ষ হতে নানা ধর্মীয় কর্মসূচী পালন করা হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ( শনিবার) চট্টগ্রামের প্রখ্যাত লীলা কীর্তন শিল্পী সৌরভ সাহা এবং তাঁর দল ভগবানের জন্মলীলা কীর্তন পরিবেশন করেছেন। তাঁর সুরের অপূর্ব দ্যুতনা এবং ভক্তি প্রেমে আমাদের ভক্তরা মুগ্ধ হয়েছে।