রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের মিজোরাম সীমান্তবর্তী দুর্গম রাঙ্গাপানিছড়া গ্রাম থেকে অপহৃত ৬ গ্রামবাসীকে উদ্ধারের দাবী করেছে ইউপিডিএফ সহযোগী সংগঠনের গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশেনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা।
সোমবার পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারে সরকারের নির্লিপ্ততা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে তারা অবিলম্বে অপহৃতদের মুক্তি দিতে জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানান, গত ১ জুলাই জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যরা সাজেকের উদয়পুর গ্রামে ডেকে নিয়ে রাঙ্গাপানিছড়া গ্রামের ৬ ব্যক্তিকে অপহরণ করে।
অপহৃতরা হলেন ধনমুনি চাকমা (১৯) পিতার নাম মঞ্জুগুলো চাকমা, সুকেশ চাকমা (২২) পিতা অজ্ঞাত, লক্ষী চাকমা (৩৫) পিতার নাম বোবা চাকমা, ভাঙ্গাহাদা চাকমা (৩৫) পিতা অজ্ঞাত, শণ বিকাশ চাকমা (৩৬) পিতা পুনংচান চাকমা ও হুল্যা চাকমা (২২) পিতা আদ্যা চাকমা।
অপহৃতদের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য দিয়ে তিন সংগঠনের নেতারা বলেন, গত ১১ জুলাই সাজেকের তিন গ্রামের ছয় জন মুরুব্বী লংকর দোর এলাকায় জেএসএসের টাইগার কোম্পানির কমান্ডার সাইমন ও বিক্রম চাকমার সাথে দেখা করে অপহৃতদের মুক্তি দেয়ার আহবান জানান। কিন্তু দুই সশস্ত্র নেতা তাদেরকে জানিয়ে দেন যে, কেবল তিন গ্রামের মুরুব্বীতে কাজ হবে না, ৫-৬ গ্রামের মুরুব্বীকে তাদের সাথে দেখা করতে হবে। “তোমরা যাও, আমরা ফোন করলে তবে আসবে” বলে তারা মুরুব্বীদের পাঠিয়ে দেয়।
যে ছয় জন মুরুব্বী অপহরণকারী জেএসএস কমান্ডারদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন দুলুছড়ি গ্রামের কার্বারী জারকাদা চাকমা (৫০), একই গ্রামের যুব সভাপতি থবারাম চাকমা (৩০), রাঙ্গাপানিছড়া গ্রামের কার্বারী সুবল্যা চাকমা (৫৫), একই গ্রামের যুব সভাপতি সুখ্যা চাকমা (৪০), বাঘেইমোর গ্রামের কার্বারী সাধন বিকাশ চাকমা (৪৫) ও একই গ্রামের যুব সভাপতি। তার নাম জানা যায়নি।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি