রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য প্রনতী রঞ্জন খীসা ও রাঙাবী তঞ্চঙ্গাকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট।
রবিবার হাইকোটের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চে এ আদেশ প্রদান করা হয়।
একি সাথে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার প্রত্যেক উপজেলা থেকে সদস্য না নিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূনগঠন সংবিধানের সাথে কেন সাংঘর্ষিক নয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তবর্তিকালীন পরিষদ পূর্নগঠনের প্রজ্ঞাপনটি কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবেনা এই মর্মে রুল জারী করেছে হাইকোট।
উল্লেখ্য রাঙামাটি জেলার দশটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধি না নেয়া এক সম্প্রদায় থেকে নিয়ে অন্য সম্প্রদায় বলা, হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট পরোয়ানা আসামী এবং একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তিকে নিয়ে রাঙামাটি জেলা পরিষদ পূনগঠন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়।
এরই প্রতিবাদে রাঙামাটির জুড়াছড়ি,বরকল,কাউখালী ও রাজস্থলী উপজেলার জনসাধারণ মিছিল মিটিং স্বারকলিপি পেশ করে তাদের দাবী জানিয়ে আসছিল।
পরবর্তীতে এ চার উপজেলা বাসীরপক্ষে এড. রাজীব চাকমা, জসিম উদ্দিন, পুলিন বিহারী চাকমা ও উথান মারমা মহামান্য হাইকোটে রিট করলে রবিবার হাই কোট থেকে এ আদেশ প্রদান করা হয়।
রিটকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন হাইকোট বিভাগের আইনজীবি মোঃ সুলতাল উদ্দিন,নিকোলাস চাকমা, রতন কুমার । রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
রিটকারী রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. রাজীব চাকমা বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ গঠনে অনিয়ম ও বৈষম্য করা হয়েছে। বঞ্চিত উপজেলা মানুষদের পক্ষে ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় আমরা গত ১২ জানুয়ারী মহামান্য হাইকোর্টে স্মরণাপন্ন হয়েছি। মহামান্য হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য রাঙাবী তঞ্চঙ্গা বলেন, এ বিষয়ে জেলা পরিষদ থেকে এখনো আমাদের কোন কিছু জানানো হয়নি। কালকে জেলা পরিষদের গেলে বিষয়টি জানতে পারব। আইনী জটিলতা তৈরি হলে আমাদের তো আইনীভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার জানিয়েছেন, আদালতের বিষয়টি আমি অনলাইন খবরে দেখেছি। মহামান্য আদালতের কাগজপত্র হাতে পেলে সবার সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।