ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় যোগ্যদের নিয়োগ, আবাসিক সুবিধার উন্নয়ন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি মাধ্যমে পাহাড়ে স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানোর কথা ভাবছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন।
বুধবার রাঙামাটিতে স্বাস্থ্য সেবা খাতে অংশীজনদের সাথে মত বিনিময় সভা শেষে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন প্রধান ড. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন পাহাড়ে স্বাস্থ্য খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমতলের মত নয়। সমতলের মত পাহাড়ের স্বাস্থ্য সেবার তুলনা করলে হবে না। এখানে জনবল সংকট, উপকরণ সংকট নিত্য ঘটনা। এ ছাড়া এখানো প্রশাসনিক জটিলতা আছে।
এখানে ভৌগলিক উন্নত করতে অনেক কাজ করা প্রয়োজন যেটা আগে করা হয়নি। এখানে কর্তৃপক্ষ জটিলতায় নিয়োগ পদায়ন অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ ব্যহত হয়। সেগুলো চিহ্নিত করে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন।
জাকির হোসেন আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ১৯৯১ এবং ২০০০ সালে ডাক্তার নিয়োগ করেছিল। এ ডাক্তাররা পাহাড়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা ধারাবাহিকতা হয়নি। জেলা পরিষদের মাধ্যমে ডাক্তার নিয়োগ ব্যাপারে কমিশন সুপারিশ করবে।
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সমস্যা নিয়ে জাকির হোসেন বলেন, রাঙামাটি মেডিকেলকে যেভাবে রাখা হয়েছে তা দু:খজনক। একটা এখানে যে সমস্যা দেখলাম সেগুলো বর্ণনা করার মত নয়। একটি বিদ্যালয়ও এর চেয়ে ভাল। এখানে বসার মত পর্যন্ত জায়গা নেই। দুর্গম এলাকায় কোন ডাক্তারকে পোস্টিং দিলে তার জন্য যেন ভাতা বৃদ্ধি করা হয় সে ব্যাপারেও কমিশন সুপারিশ করবে।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন রাঙামাটি সফরকালে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন। এরপর রাঙামাটি জেলা পরিষদে তিন পার্বত্য জেলা ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের সাথে মতবিনিময় করেন।দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন স্টেকহোর্ডারদের নিয়ে মত বিনিময় করে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি দলে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে প্রফেসর ডা. নায়লা জামান খান, প্রফেসর ডা. সায়েবা আক্তার, প্রফেসর লিয়াকত আলী, প্রফেসর ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, প্রফেসর ড. সৈয়দ মো আকরাম হোসেন।