জুলাই বিপ্লবের ন্যায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে ছাত্র সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের জন্য বাংলাদেশ ছাত্র যুব সমাজ যে ভূমিকা রেখেছে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য জুম্ম ছাত্র সমাজকেও সে ভূমিকা রাখতে হবে। সে সময় এসে গেছে। কথাগুলো বলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কে এসমং মারমা।
সোমবার সকালে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত দ্বিতীয় বৃহৎ ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী মারমা জাতিগোষ্ঠীর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের রাঙামাটি জেলা ৮ম ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের ১৩ তম কাউন্সিলে এ সব কথা বলেন কে এসমং মারমা।
কেএসমং মারমা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের অস্থিত্ব ভূমি। সেই ভূমি কেড়ে নেয়া হচ্ছে। চিত্র নায়িকা থেকে শুরু করে সেনা পুলিশ র্যাবসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা আমাদের ভূমি লিস্ট নিচ্ছে। তাহলে আদিবাসী জনগণ পাহাড় ছেড়ে কোথায়া যাবে? ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে সোচ্ছার হতে হবে।
অধিকার আদায়ের জন্য পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নাই। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের জন্য আওয়ামীলীগের তিন এমপিকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। এরা হলেন দীপংকর তালুকদার, বীর বাহাদুর এবং কল্পরঞ্জন চাকমা। এদের সে সময় কোন কিছুই ছিল না। নির্বাচিত করিয়ে এদের হাতে আলোর মশাল তুলে দিয়েছিল পার্বত্য চগ্রামের আদিবাসীরা। এরা এক পর্যায়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে বেইমানী করে।
এদের হাতে আদিবাসী জনগণ ভোট দিয়ে আলোর মশাল দিয়েছিল কিন্তু এরা বেইমানী করেছে।
আদিবাসী অধিকার আদায়ের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
কেএসমং মারমা বলেন, এখন অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে। কাদের সাথে ঐক্য কিসের ভিত্তিতে এ ঐক্য হবে? যাদের কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক নেই তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করা সম্ভব নয়। কুকি চিন মগ পার্টি অধিকার আদায়ের জন্য এদের সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই। এরা একটি নির্দিষ্ট সংস্থার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে শহরের ভিতরে চাঁদাবাজি করে। এ চাঁদা তারা ভাগাভাগী করে।
পার্বত্য চুক্তির বিরোধীতা করে ইউপিডিএফের জন্ম। এ দলের বয়স ২৭ বছর পার হয়ে গেছে। অথচ এ দল কি চায় সেটার সুনির্দিষ্ট এখনো কোন ইশতেহার তৈরি করতে পারেনি।
সভায় অন্যান্য বক্তারা, মারমাদের নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি ঐতিহ্য ইতিহাসকে সমুন্নত শিক্ষা সামাজিক সাংস্কৃতিক ও অধিকারমুলক আন্দোলনকে জোরদার করার আহবান জানান।
বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল রাঙামাটি জেলা সভাপতি অংথুইচিং মারমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএসসির কেন্দ্রীয় সাবেক অর্থ সম্পাদক আপ্রু মারমা, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি উসিথোয়াই মারমা, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সাইলুমং মারমা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কো অং শোয় সিং মারমা, সদস্য উচাচিং মারমা।