পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে সেটা স্বীকার করতে হবে। যেগুলো ছোট এবং দ্রুত সমাধান করার মত সে সমস্যাগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।- কথাগুলো বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক মো. তৌহিদ হোসেন।
শনিবার দুপুরে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির ১০ম সভা শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন
তৌহিদ হোসেন।
শরিবার পূর্ব নির্ধারিত এ সভাটি সকাল সাড়ে ১০ টায় রাঙামাটিতে উন্নয়ন বোর্ডের সেন্ট্রাল রেস্ট হাউজে শুরু হয়। শেষ হয় বেলা দেড় টায়।
পরে সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ও সন্তু লারমা। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা, পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা তৌহিদ হোসেনের পাশে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি সহ ‘আমরা সব বিষয়ে বিষদ আলোচনা করেছি।
একটি বিষয় আমি সবসময় বলি যে-সমস্যা সমাধানেের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে সমস্যা যে আছে সেটাকে স্বীকার করা। আমরা মনে করি যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। সে সমস্যাগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। আজকের আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন – ‘আমরা চেষ্টা করেছি ছোট বিষয়গুলো যেগুলো সহজেই সমাধান করা যায়, সেগুলোকে আমরা শেষ করে ফেলি। আর যেগুলো কঠিন বিষয় আছে সেগুলোকে কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটার রাস্তা বরং খোঁজার চেষ্টা করি। এটাই ছিল আজকের আলোচনার মূল বিষয়’।
এ আলোচনা সভাশেষে বেশ ফুরফুরে এবং হাসিমাখা মুখ দেখা যায় চুক্তি স্বাক্ষরকারী দল জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমার মুখে। তবে সভায় কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সভা নিয়ে সন্তুষ্টি নিয়ে মন্তব্য জানাতো অপারগতা প্রকাশ করেন সন্তু লারমা।
পার্বত্য চুক্তিতে কী ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করা গেছে- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন- ‘নতুন করে সমস্যা চিহ্নিত করার প্রয়োজন নাই। আমরা জানি কিছু সমস্যা আছে। কারণ না হলে তো অনেক পুরনো এই চুক্তি, বাস্তবায়িত তো হয় নাই। চেষ্টা করছি যেন সবাই মিলে একসাথে এমনভাবে করি যাতে কোন নতুন করে কন্ট্রোভার্সি সৃষ্টি না হয়’।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, উপ-সচিব মঙ্গল চন্দ্র পাল ও উপ-সচিব সামছুল হক।
উল্লেখ, ড ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও নীরিক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সর্বশেষ গত বছর ৩০ এপ্রিল ৯ম সভা অনুষ্ঠিত হয়।