মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর জলকেলীর মধ্য দিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে শেষ হল মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহি সাংগ্রাই উৎসব।
শনিবার দিনব্যাপী জলকেলীর সমাপনী উপলক্ষে রাঙামাটি চিংহ্লা মং মারমা মারী স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় জলকেলী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মাসস রাঙামাটি শাখা এ উৎসবের আয়োজন করে।
অন্যদিকে শুক্রবার রাতে হামলা হওয়ার আশঙ্কা ও নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ‘মারমা যুব সমাজ নামে একটি পক্ষ জনসাধারণকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিলেও পড়েনি প্রভাব।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মারমা জনগোষ্ঠীর লোকজন জড়ো হন রাঙামাটি স্টেডিয়ামে। দুপুর ১২ টার দিকে পার্বত্য উপদেষ্টা জল ছিটিয়ে জলকেলী উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এ সময় রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খন্ডকার রেজাউল করিম, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুনাঈদ উদ্দিন শাহ চৌধুরী, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মাসস সভাপতি থোয়াই সুই খই মারমাসহ বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর পরই মারমা তরুণ তরুণীরা একে অপরের গায়ে জল ছিটিয়ে জল উৎসবে মেঠে উঠে। একি সাথে চলে মারমা শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জলকেলীর উৎসবের প্রধান অতিথি পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জনগোষ্ঠী যেন তাদের উৎসব পালন করতে পারে সেজন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশের কোন জনগোষ্ঠী ক্ষুদ্র নয়। সে কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র অংশটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবছর পার্বত্যাঞ্চলে মারমা জাতিগোষ্ঠী ঐতিহ্যবাহী এই সাংগ্রাই উৎসব পালন করে। এই সাংগ্রাই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য হলো পুরোনো বছরের গ্লানি, ব্যর্থতা, কষ্ট যা কিছু আছে ধুয়ে মুছে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যেমে নতুন বছরকে বরণ করা।
মারমা বার্মিজ পঞ্জিকা অনুসরণ করেন। এ বর্ম পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৩৮৬ মগাব্দ শেষ হয়েছে গত ১৪ এপ্রিল। ১৫ এপ্রিল শুরু হয় নতুন বর্ষ ১৩৮৭ মগাব্দ।
প্রতি বছর পার্বত্যাঞ্চলে মারমা জাতিগোষ্ঠী ঐতিহ্যবাহী এই সাংগ্রাই উৎসব পালন করে। এই সাংগ্রাই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য হলো পুরোনো বছরের গ্লানি, ব্যর্থতা, কষ্ট যা কিছু আছে ধুয়ে মুছে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যেমে নতুন বছরকে বরণ করা।
মারমা জনগোষ্ঠী বার্মিজ পঞ্জিকা অনুসরণ করেন। এ বর্ম পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৩৮৬ মগাব্দ শেষ হয়েছে গত ১৪ এপ্রিল। ১৫ এপ্রিল শুরু হয় নতুন বর্ষ ১৩৮৭ মগাব্দ।